তিনি বলেন,
“গত ৫০ বছর ধরে আমাদের সহযোগিতা অসাধারণ। চীন আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ অংশীদার।”
সিনহুয়ার তথ্যমতে, চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে দেশে প্রায় ১,০০০ চীনা উদ্যোগ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
নাহিয়ান রহমান রোচি আরও বলেন,
“ঐতিহ্যগতভাবে চীনের সহায়তায় অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা বড় সাফল্য পেয়েছি। তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি এখন ওষুধ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স খাতে চীনের বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে।”
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক উৎপাদন কেন্দ্র ও প্রতিযোগিতামূলক ডিজিটাল অর্থনীতি হিসেবে গড়ে উঠতে চায়, যার জন্য চীনের সঙ্গে আরও গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক জরুরি।
মূল্য-শৃঙ্খলা ও পারস্পরিক পরিপূরকতা:
রোচি বলেন,
“চীন মূলধননির্ভর ও উচ্চ-প্রযুক্তি উৎপাদনে মনোযোগ দিতে পারে এবং বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। এতে দুই দেশই বৈশ্বিক বাজারে আরও শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারবে।”
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টেকসই জ্বালানি সরবরাহ। রোচি বলেন,
“আমরা এখন সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। চীন এ খাতে আমাদের উপযুক্ত অংশীদার হতে পারে।”
চীনের বিনিয়োগ পরিবেশ ও শিক্ষা
তিনি চীনের অর্থনৈতিক মডেল ও বিনিয়োগ-আকৃষ্ট নীতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন,
“চীনা বিনিয়োগকারীদের গতি, দক্ষতা ও সুযোগ-সুবিধা আমাকে অবাক করে। আমরা সবসময় চীনের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি।”
আসন্ন চীন সফর ও অগ্রাধিকার খাত
এই মাসে বিডার একটি প্রতিনিধি দল চীন সফরে যাবে বলে জানান তিনি। সফরের লক্ষ্য হবে:
টেক্সটাইল
ফার্মাসিউটিক্যালস
তথ্যপ্রযুক্তি (ICT)
নবায়নযোগ্য শক্তি
চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অটোমোবাইল (উদীয়মান খাত)
চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিবেদিত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু রয়েছে এবং দ্বিতীয় অঞ্চল সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও আছে।
রোচি বলেন,
“আমরা খুবই প্রতিযোগিতামূলক করছাড় ও অন্যান্য প্রণোদনা দিচ্ছি। বাংলাদেশে আগ্রহী চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।”
ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি
রোচি বলেন,
“গত ৫০ বছরের অগ্রগতি একটি মডেল হতে পারে। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা দুই দেশের সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে পারি।”
সূত্র: সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি